গরু চুরির মামলা ষড়যন্ত্রমুলক, এতিম নাবালক শিশুদের নির্যাতন ,শেষ সম্বল বসতবাড়ী দখলের চেষ্ঠা । 205 0
গরু চুরির মামলা ষড়যন্ত্রমুলক, এতিম নাবালক শিশুদের নির্যাতন ,শেষ সম্বল বসতবাড়ী দখলের চেষ্ঠা ।
পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি
রংপুরের পীরগঞ্জের বড় আমবাড়ী গ্রামে এতিম অসহায় নাবালক শিশুদের জোর পুর্বক শারীরিক নির্যাতন করে শেষ সম্বল বাড়ীর ভিটে দখলের চেষ্ঠার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার বেলা ১ ঘটিকায় এঘটনাটি ঘটেছে।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষ দর্শিদের বিবরনে জানাযায়, উক্ত গ্রামের স্বামী পরিত্যাক্ত্যা মনজিলা বেগম (৩৫) ৩ শতাংশ জমিতে বাড়ী করে ৫ জন ছেলেমেয়েদের নিয়ে বসবাস করত। মনজিলা প্রতিবেশীদের বাড়ীতে ঝিঁ এর কাজ করে গচিছত অর্থদিয়ে এ বাড়ীটি করেছে। এর মধ্যে সাবানা নামের কন্যাকে বিবাহ ও দিয়েছে, রয়েছে তার আরও ৪ নাবালক ছেলে মেয়ে। এরই এক পর্যায়ে মনজিলার উপর লেলুপ দৃষ্ঠি পড়ে উক্ত ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য লিটন মিয়া, কায়রো মিয়াসহ কয়েকজনের। তারা বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাবে রাজি করাতে না পেরে মিথ্যা ষড়যন্ত্র মুলক গ্রামের গর“ চুরির মামলায় ফাঁসিয়ে মনজিলাকে পুলিশের হাতে তুলেদেন বলে জানান, উক্ত গ্রামের ৫০ উর্দ্ধে আজিবর হোসেন, লিয়াকত আলী, আমেনা বেগম, লাইলী বেগম সহ অনেকে। পরবর্তীতে মমনজিলাকে ফুসলিয়ে ইউপি সদস্য লিটন মিয় ও মৃত খাদেম আলীর পুত্র কায়রো মিয়া গর“ চুরির মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার সহানুভুতি দেখান। এতে থানা পুলিশ মামলার নিষ্পত্তিতে খরচ দেখান ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা। উক্ত টাকা মনজিলা পরিশোধ করতে না পারায় তার বাড়ীভিটের ৩ শতক জমি কায়রোর নামে লিখে নেন। পরে মনজিলা নাবালক ৪ সন্তানকে রেখে অন্যত্রে পালিয়ে গিয়ে নতুন করে সংসার বাধে। এদিকে ইউপি সদস্য লিটন মিয় ও কায়রো মিয়া এলাকাবাসীর বাধার কারনে মনজিলার ৪ নাবালক সন্তানদের একধিকবার বাড়ীথেকে বের করে দেয়ার চেষ্ঠায় ব্যার্থ হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার বেলা ১ ঘটিকায় আবারো মনজিলার নাবালক শিশু মনোয়ার (৮), আনোয়ার (১৪), লিমন (১০) সহ ৫ বছরের কন্যা সন্তানকে শারীরিক নির্যাতন করে বাড়ীর বেড়া ভাংচুর সহ বাড়ী থেকে বের কওে দেন লিটন ও কায়রোর গং। এলাবাসী ৯৯৯ এ কল করলে পরে থানা পুলিশ এসে পুনরায় তাদেও বাড়ীতে তুলেদেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ প্রতারক ইউপি সদস্য লিটন ও কায়রো সহ কাউকে গ্রেফতার বা থানায় কোন মামলা হয়নি। এ ব্যাপারে অফিসার্স ইনচার্জ সরেস চন্দ্রের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, আমি উভয়কে কাগজ পত্রসহ থানায় ডেকেছি। আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এলাকাবাসী এ এতিম শিশুরা যেন গৃহহীন না হয়, সেদিক বিবেচনা পুর্বক আইন প্রনয়নকারী সংস্থাকে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন।